হাওড়া জেলার বাঁকড়া এলাকায় সাধারণ মানুষের কল্যাণার্থে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ছিল সিপিআইএম। সেই রক্তদান শিবিরেও হামলা চালালো রক্তচোষা তৃণমূল।
মূলত করোনা সংক্রমণের কারণে বর্তমান সময় যে রক্তের ব্যাপক আকাল এবং প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়েছে, সেটাকে কিছুটা সামাল দেবার জন্যই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ছিলেন বাঁকড়ার মুজাফ্ফর আহমেদ ভবনে বাঁকড়ার সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা।
এই রক্তদান শিবিরের উপকারিতার কথা ভেবে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এসেছিলো রক্তদান করতে।
সুস্থ ভাবেই সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনেই চলছিল রক্তদান।
তখন বাজে বেলা সাড়ে বারোটা। তেত্রিশ জন রক্ত দিয়ে ফেলেছেন প্রায়। হঠাৎই হামলা তৃণমূলের দুর্নীতিবাজ দের। বোমা,লাঠি, লোহার রোড, ইট পাথর এসব নিয়ে হামলা করল দুষ্কৃতী দের দল টা। চললো তুমুল ভাঙচুর। রক্তদেওয়া মানুষ জনের উদ্দেশ্যে ছোঁড়া হলো বোমা।
চললো লাগাতার ইট বৃষ্টি।
এই ঘটনায় গুরুতর আহত হলেন যারা রক্ত নিতে এসেছিলেন এবং স্থানীয় রক্তদান কারী মানুষ জন । এছাড়া আহত হয়েছেন সোমেন ঘোষ সহ বেশ কিছু বাম কর্মী সমর্থক।
তৃণমূলের এই নির্মম হামলার পিছনে আসলে হাত রয়েছে বাঁকড়ার পঞ্চায়েত প্রধান মেহের আলী ও উপ প্রধান ওয়াহের আলীর। তারা নিজে উপস্থিত ছিলেন হামলা স্থলে এমন টাই জানা গেছে।
রাজ্যের প্রাক্তন বাম মন্ত্রী মোহন্ত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন সাড়ে বারোটা থেকে একটার মধ্যে তারা হামলা করে। প্রথমে লোহার রড দিয়ে দরজা ভাঙে। তারপর ভিতরে ঢুকে তছনছ করে সব কিছু। চেয়ার,টেবিল, বেড সমস্ত কিছু ভেঙে চুড়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রক্ত দেওয়া মানুষ দের লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় বোমাও! সৌভাগ্যবসত সেটা ফাটেনি। পড়ে সেটাকে জল দিয়ে নিষ্ক্রিয় করে দেন তারা।
এই নির্মম হামলার প্রতিবাদে গত কাল হাওড়ার ডোমজুড় মোড়ে এক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেছে সিপিএম।
সত্যিই মানবতার ওপর এই নিষ্ঠুর আক্রমণ কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না।
পৃথিবীর ইতিহাস প্রমান করেছে স্বৈরাচারী, নিষ্ঠুর রা বেশী দিন গদিতে টিকতে পারেনি।
প্রতিবেদনে-শশাঙ্ক
ছবি ঋণ- সোমেন ঘোষ