কয়েকদিন আগেই রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের পতাকা নামিয়ে বিজেপির পতাকা তুলে দিয়েছিলো বিজেপি কর্মীরা,তারপর বিজেপির পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সময় তৃণমূল কর্মীদের ওপর খোলা রাস্তায় ভয়াবহ নিপীড়নের চিত্র দেখা গিয়েছিলো পূর্বমেদিনী পুরের খেঁজুরি, বোগা এলাকায়।
এবার তার প্রতিবাদেই আজ বিকেলে রাস্তায় নামলেন তৃণমূল কর্মীরা।
প্রায় দশ হাজার তৃণমূল কর্মী- সমর্থক ও সাধারণ মানুষ আজ বিকেল তিনটে নাগাদ শ্যাম পুর থেকে বিদ্যাপীঠ এলাকা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।সবার মুখে একি প্রশ্ন। কবে থামবে রাজ্যে বিজেপির সন্ত্রাস!
এইদিন বিজেপির দুষ্কৃতীদের ওপর এলাকায় বোমাবাজি, এক মহিলা কর্মীর পা পুড়িয়ে দেওয়া, গাড়ি ভাঙচুর এবং স্বাস্থ্য কর্মধক্ষ্য পার্থ প্রতিম দাসকে মারধোর করার মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে।
এর প্রতিবাদেই আজ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন হাজার হাজার এলাকার মানুষ।
ছিলেন খেঁজুরির এম এল এ রণজিৎ মন্ডল সহ জনকা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সমর শঙ্কর মন্ডল এবং খেজুরি দু নম্বর ব্লক নিজকসবার পঞ্চায়েত উপপ্রধান তথা খেঁজুরি আদর্শ বিদ্যাপীঠের বিশিষ্ট শিক্ষক সমুদ্ভব দাস। এছাড়াও ছিলেন খেঁজুরি দুনম্বর ব্লকের ব্লক কনভেনার দেবাশীষ দাস।
তাদের মুখে উঠে আসে এলাকার বিজেপি কর্মীদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দৃপ্ত কণ্ঠে প্রতিবাদ।
তাদের বক্তব্য, শান্ত খেঁজুরিকে অশান্ত করে তুলছে সিপিএম থেকে বিজেপি হওয়া কর্মীরা। তৃণমূল বেশিদিন শান্ত বসে থাকবেনা। এটা মমতা ব্যানার্জির সরকার,সবার প্রাণের সরকার চলছে। এই সামাজিক শান্তিকে ভাঙতে চাইলে মূল্য চোকাতে হবে বিজেপিকে!
দীর্ঘদিন ধরে অশান্তির কেন্দ্রবিন্দু খেঁজুরি আদৌ কি শান্ত হবে! নাকি একুশের ভোট যত এগোবে খোলস ছাড়িয়ে বিজেপির কাল সাপেরা ত্রাসের কারণ হবে আরো! এই নিয়ে থাকছে প্রশ্ন।
প্রতিবেদনে-শশাঙ্ক