যুদ্ধের সেনাপতি কি কেউ মীরজাফরদের রাখতে চায়? কিন্তু দলের বিরুদ্ধে বেসুরো কথা বলা এমন অনেককেই এইবার বিধানসভা ভোটে টিকিট দেওয়া হয়েছে গতকাল তৃণমূলের পক্ষ থেকে । দেখে নিন তারা কারা।
যেমন ইংরেজ বাজার থেকে টিকিট পাওয়া কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। একসময় দলেরই এক নেতা নীহাররঞ্জন ঘোষের সাথে গোষ্ঠী দ্বন্দে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। নীহাররঞ্জন ঘোষের বাড়ি এবং পার্টি অফিসে হামলার সাথে তার নাম জড়িয়েছিল।
শেষ মেস রাজ্য সরকারের নিরাপত্তাও ফিরিয়ে দেন। এতো কিছুর পরেও তাকে প্রার্থী করা হলো ইংলিশ বাজার কেন্দ্র থেকে।
তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ পারিয়ালও দলে থেকে কাজ করতে না পারার অভিযোগ করে মুখ খুলে ছিলেন সাংবাদিকদের সামনে। এছাড়াও তার অভিযোগ ছিলো শ্রমিক দের বঞ্চনা করা হচ্ছে। দলের মধ্যে একটা অংশ নিজেদের পকেট ভরানোর জন্য এই কাজ করে চলেছেন। এতো কিছুর পরেও তাকে দুর্গাপুর পশ্চিম থেকে প্রার্থী করা হলো।
এরপর আসে চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর নাম। ২০১১, ২০১৬, ২০২১ তিনবারেই বিধানসভা নির্বাচনে বারাসাত কেন্দ্রে তৃণমূলের থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তাকে। এবারে তিনি বলেছিলেন এই নির্বাচনে টিকিট না পেলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। এরপর তাকে আবার টিকিট দেওয়ায় খুশি হয়েছেন তিনি।
মানিকতলার বিধায়ক সাধন পান্ডেও দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন দলের মধ্যে অনেক বড় পদে অনেক ধূর্ত লোক রয়েছে। তৃণমূলের ভালোর জন্যই তাদের সরানো দরকার। শেষমেশ তাকে তার কেন্দ্র থেকেই আবার টিকিট দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও কাশিপুর-বেলগাছিয়া থেকে প্রার্থী করা হয়েছে অতীন ঘোষকে যিনি দলে তাকে কোণঠাসা করার অভিযোগ করেছিলেন এক সময়।
এছাড়া প্রশান্ত কিশোরের টিমের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছিলেন অতীন ঘোষ। তা সত্ত্বেও তাদের রাখা হয়েছে প্রার্থী তালিকায়। এছাড়াও জায়গা পেয়েছে প্রচুর নতুন রাজনীতির র না করে আসা তারকা মুখ। বাদ পড়েছে বহুদিনের নেতা কর্মীদের অনেকাংশ।
প্রতিবেদনে-অনির্বান