ট্রাক মালিকরা যদি আন্দোলন ডাকে তাহলে রাজ্যের প্রান্তে প্রান্তে খাবার পৌঁছাবেই বা কিভাবে, মানুষ খাবেই বা কি, এই চিন্তাই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে সাধারণ মানুষ কে। এমনিতেই আগুনের ছ্যাঁকা এসে পড়েছে মধ্যবিত্তের রান্নাঘরে, আলু-পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন আনাজের দাম উর্দ্ধমুখী। এরই মধ্যে প্রায় ৭২ ঘন্টা ধর্মঘটের ডাক ট্রাক মালিকদের। ফলত আবার বাড়তে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম।
আগামী ১২ থেকে ১৪ই অক্টোবর ৭২ ঘন্টার ধর্মঘটের ডাক দিল ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স অ্যসোসিয়েশন।
কিন্তু কেনো এই ৭২ ঘন্টার ধর্মঘট? সুত্রের খবর হাইওয়েতে রীতিমতো পুলিশি রাজ চলার কারনে যে ক্ষতি , তা এড়াতে ২৫ শতাংশ বহন ক্ষমতা বাড়ানোর দাবিতে এই ধর্মঘট। এই ধর্মঘটে কাজ না হলে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ট্রাক সংগঠন মালিকদের।
১২ই অক্টোবর থেকে ১৪ই অক্টোবর অবধি এই রাজ্য থেকে থেকে যেমন ভিনরাজ্যে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে , তেমনই ভিনরাজ্য থেকে এ রাজ্যে কোনো ট্রাক প্রবেশ করবে না। সব মিলিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ ট্রাকের আসা যাওয়া বন্ধ থাকবে ঐ ৭২ ঘন্টা। যার প্রভাব পড়বে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের উপর। মাছ , ডিম এরকম নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের উপর বেশি প্রভাব পড়বে বলে অনেকে মনে করেছেন।
পুজোর আগে আবার ও বাজারের আগুনের ছ্যাঁকা আসতে চলেছে মধ্যবিত্তের সংসারে। আদৌ কি কোনো প্রাসঙ্গিকতা আছে এসবের? এটা সত্যিই যে লকডাউনের কারণে পরিবহন ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যথেষ্টই কিন্তু মালিক শ্রেণীর এই ধর্মঘটের তাৎপর্য কি নিতান্তই জীবন ধারণের জন্য নাকি প্রফিটের একাংশ কমার জন্য সেটাই ভাবার।
প্রতিবেদনে- তানভি সুলতানা