কেন্দ্রের কাছে নেই মৃত পরিযায়ী শ্রমিকে তথ্য , তাই প্রশ্নই থাকছে থাকছে না তাদের ক্ষতিপূরনের দায় এমনটাই মন্তব্য কেন্দ্রের। করোনা সংক্রামন রুখতে আচমকা দেশ জুড়ে জারি হয় লকডাউন । বিপাকে পড়েন ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া লক্ষ লক্ষ শ্রমিক। এরফলে অনাহারে , অসুস্থায় মারা যান অনেকে, হেঁটে গ্রামে ফিরতে গিয়ে প্রান হারান অনেকেই। গত সোমবার কেন্দ্র সংসদে জানিয়ে দেওয়া হলো এই লকডাউনে কতজন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গেছেন তার হিসেব কেন্দ্রের কাছে নেই।
এইদিন বাদল অধিবেশন শুরু হয় , সেখানে প্রশ্ন রাখা হয় এই লকডাউনে কতজন পরিযায়ী শ্রমিক প্রান হারিয়েছেন এবং তাদের ক্ষতিপুরন দেবার ব্যবস্থা কেন্দ্র কিছু কি করছে ।
লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক স্পষ্ট জানান যে কতজন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গেছেন তার পরিসংখ্যান কেন্দ্রের কাছে নেই , সুতরাং সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরনের প্রশ্ন উঠছে না। সঙ্গে এটাও জানান লকডাউনে কতজন কাজ হারিয়েছেন তার খতিয়ানও রাখা হয়নি।
বিশ্ব ব্যাংক এপ্রিলেই জানিয়েছিল এই লকডাউনে প্রায় ১২ কোটি ১৫ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। হকার , দিনমজুর এবং ছোটো ব্যবসায়ীরা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত , তাঁদের মধ্যে ৯ কোটি ১২ লক্ষ মানুষের আর কাজ নেই।
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি জানিয়েছেন দেশে রোজগেরেদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ এই হকার, ছোটো ব্যবসায়ীএবং দিনমজুর , যাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয় না। এই লকডাউনে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ তাঁরাই।
তবে কি সরকার পরিযায়ী শ্রমিকের সমস্যা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে? কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক সন্তোষ কুমার গঙ্গওয়ান জবাবে জানান মার্চ মাসে লকডাউন জারি হবার পর প্রায় ৬৩.০৭ লক্ষের বেশি শ্রমিক বাড়ি ফিরেছেন, তাঁদের জন্য ৪ হাজার ৬১১ টি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ১মে থেকে চালু হয়।
রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গুলোতে ঐ পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে-তানভি সুলতানা