কোটিপতি ব্যবসায়ীরা কি জনদরদী হতে পারেন! হ্যাঁ পারেন! এমনি ঘটনা ঘটে choleche বর্ধমানে! গত কয়েক দিনে ঊর্ধ্বমুখী আলুর দামে লাগাম দিতে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোন কাজ না হওয়ায় এবার হাল ধরলেন ব্যবসায়ী সমিতি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি বর্ধমানের খোলাবাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা থেকে ৩৫ টাকা কিলো দরে। তাই ক্রেতাদের সংকটের হাত থেকে বাঁচাতে কম দামে আলু বিক্রি করতে শুরু করলো বর্ধমান সদর আলু ব্যবসায়ী সমিতি।
আলু ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য বিষ্ণু দত্ত জানিয়েছেন, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আলু বিক্রি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেক ক্রেতাকে দু কেজি করে আলু বিক্রি করা হচ্ছে এবং কেজি প্রতি ২৭ টাকা দাম ধার্য করা হয়েছে। অনেক ক্রেতা জোরাজুরি করলে তাদের তিন কেজি করে আলু দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
বর্ধমানের কার্জন গেটের কাছে প্রায় ২৭ কেজি আলু বিক্রি করা হয়েছে। সমিতির তরফে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। দুর্গাপূজা পর্যন্ত এই পদ্ধতি বজায় থাকবে বলে সমিতির সদস্যরা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী আলুর দামে লাগাম দেওয়ার জন্য ঘোষণা করলে টাক্সফোর্স নজরদারি চালালেও আলুর দামের কোন লাগাম দেওয়া যায়নি।
বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা বাজার, নীলপুর, বিরহাটা বাজারে সর্বত্রই চড়া দামে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। জ্যোতি আলুর পাশাপাশি চন্দ্রমুখী আলুর দামও আকাশছোঁয়া। খোলাবাজারে কোথাও কোথাও ৪৫ টাকা কিংবা তার বেশি দামে বিক্রি করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের প্রতি জানিয়েছিলেন, এইভাবে আলুর দাম বাড়ানো যাবে না। ২৫ টাকা করে কেজি প্রতি আলু বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে কোন হেরফের হয়নি। আলুর পাশাপাশি সমস্ত সবজির দামে বেড়ে চলেছে একনাগাড়ে। পটল, টমেটো ছাড়াও যে কোন সবজি কিনতেই হাতে ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের হাতে। সেক্ষেত্রে বলা বাহুল্য পুজোর আগে এই রকম দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস তুলেছে। তাদের এই জনদরদী পদক্ষেপে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। দুবেলা তাদের দুহাত ভরা আশীর্বাদ আর ভালোবাসা পাচ্ছেন আলু ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবেদনে: তিথি দাস