বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো হল এক অম্লান অনুভূতির , যা প্রতি বছর ফিরে ফিরে আসে তবুও তার উজ্জ্বলতা হারায় না ।আর সেই মহালয়ার সূচনা হয় যার মাধ্যমে সেটা হল মহিষাসুরমর্দিনী। এই মহিষাসুরমর্দিনী যার কন্ঠ ছাড়া অসম্পূর্ণ তিনি হলেন বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র শুধুমাত্র একজন কণ্ঠশিল্পী নন,বাঙালির অনুভুতি।বাঙালির জীবনে অমর হয়ে আছে তার কণ্ঠে উচ্চারিত চন্ডী পাঠ। তার কন্ঠ ছাড়া আকাশে বাতাসে খুঁজে পাওয়া যায় না পুজোর আমেজ।
অনেক কাল থেকেই তাঁর বিকল্প খোঁজার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে বাঙালি। বাঙালির প্রিয় অভিনেতা উত্তমকুমারকে দিয়েও একবার মহালয়ার ভোরে চন্ডী পাঠ করানো হয়েছিল, কিন্তু তার ফল কি হয়েছিল তা সবার জানা। মানুষ গ্রহণ করেননি মহানায়কের প্রচেষ্টা ।মানুষের মধ্যে ভদ্র বাবু এমনভাবে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত হয়ে গেছেন যে তাকে ছাড়া অন্য কাউকে বাঙালি চণ্ডীপাঠে ভাবতেই পারে না।
আর তার এই বিশাল মাদকতা কে কাজে লাগিয়ে সেই ধারাকে বয়ে নিয়ে যাওয়ার বিচ্ছুরণ দেখা গেছে এক ক্ষুদে প্রতিভার কন্ঠে। ইতোমধ্যেই সুখ্যাত হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া জগতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের নাতি। এত অল্প বয়সে এত স্পষ্ট উচ্চারণে ,সুন্দর কন্ঠে সুরে চন্ডী পাঠ করছে তা দেখে অনেকেই অবাক। দাদুর সৃষ্টিশীলতা ছড়িয়ে পড়েছে নতির বৃন্তে বৃন্তে। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের নাতির কন্ঠে এই ভিডিওটি যারা দেখেছেন তারা বিস্মিত হয়েছেন ।সবার মন কেড়ে নিয়েছে এই শিশু,যার ফল হিসেবে এসেছে প্রচুর সেয়ার, লাখ খানেক লাইক ও অসংখ্য সাধুবাদ জানানো কমেন্ট।
যারা দেখেছেন তারা ইতিমধ্যে বলতে শুরু করেছেন যে এই প্রতিভা নাকি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া।
উত্তরাধিকারসূত্রে অন্য কিছু পাওয়া না গেলেও এই কন্ঠ যে দাদুর ই উত্তরসূরি সেটা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের নাতি ।দেবীপক্ষের পুণ্যবতী বাঙালির গানে বাজে বীরেন্দ্র কিশোর ভদ্রের কন্ঠে ,মধ্যবিত্ত বাঙালির আবেগ দিয়ে জানান দেয় বংশ-পরম্পরা অন্য কিছু না হলেও প্রতিভা এভাবেই বারে বারে ফিরে আসে।
প্রতিবেদনে- সোহেল সারওয়ার