মেঘালয়ের রাজ্যপাল হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হবার পর তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন এবং প্রাথমিক সদস্য হিসেবে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।
তিনি অর্থাৎ তথাগত রায় । ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বাংলার রাজনীতিতে বা আসন্ন প্রচারে তার ভূমিকা এখনো নিরূপণ না হলেও ইতোমধ্যে তিনি করে ফেলেন এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য ।বিজেপিতে যুক্ত হওয়া অন্যান্য দল থেকে আসা সদস্যদের বিরুদ্ধে তোলেন সন্দেহের আঙুল। তৃণমূল ও অন্যান্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যারা যোগ দিয়েছেন, তারা বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারেন ,এমনই কথা বলে উঠলেন তথাগত রায়।
এক সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন ,বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারা সৎ উদ্দেশ্যে বিজেপিতে আসেন নি ,তারা এসেছেন ক্ষমতালাভের আশায়। ২০২১ এর পর তাদের বিজেপির হাত ধরে ক্ষমতা লাভের এক বিরাট সুযোগ এবং তারা যুক্ত হয়েছেন বিজেপি তে থেকে বিশ্বাসঘতকতার জন্যই।
তিনি এই বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে টুইট স্পষ্ট করে জানান ,এই ব্যাপারে তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুসলিম নেতাবৃন্দ কে টার্গেট করছেননা, বরং ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাদের কথাই বলতে চেয়েছেন তিনি ।তারাই দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারেন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরো বলেন যে দলের উচিত যোগদানকারীদের জন্য একটা বিশেষ পরীক্ষার বন্দোবস্ত করার। যোগদানকারীরা কোথা থেকে এসেছেন তাও খতিয়ে দেখা উচিত দলের। তিনি এই বার্তা দিয়ে এক সন্দেহের তালিকায় ফেলেন তৃণমূল সিপিএম কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা ও সদস্যদের।
তার বক্তব্য আল-কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে যাদের ধরা হয়েছিল, তাদের মধ্যে কিছু জন যেমন সরকারি পদ পাওয়ার চেষ্টা করছিল, ঠিক সেরকমই যারা নতুন যোগদান করেছেন বিজেপিতে ,তারাও ক্ষমতার স্বার্থে এবং বিজেপিকে বিশ্বাসঘাতকতায় ফায়দা লুটতে যুক্ত হয়েছে দলে দলের উচিত এখন শুদ্ধিকরণ করা এবং যোগদানকারীদের জন্য পরীক্ষার ব্যাবস্থা করা।এবং সন্দেহজনক পার্টির নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া।
প্রতিবেদনে-সোহেল সারওয়ার