বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর ভাগ্য এখন সুপ্রিম কোর্টের হাতে বিচারাধীন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তামিলনাড়ুর সোসাইটি রেজিশেন এক্ট অনুযায়ী 30 শে সেপ্টেম্বর এর মধ্যে বোর্ডের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন প্রায় 90 হাজার সংক্রমণের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে বোর্ডের বার্ষিক সভা করতে নারাজ ভারতীয় বোর্ড। ফলে 30 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সৌরভ গাঙ্গুলী বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে বহাল থাকছেন। বোর্ডের অন্দরমহলের খবর অনুযায়ী বোর্ডের সাধারণ বার্ষিক সভা ডিসেম্বরের আগে হওয়া সম্ভব নয়।ডিসেম্বরের আগে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা না হলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সভাপতি হিসাবে এবং জয় সহ সচিব হিসেবে পদে বহাল থাকার সম্ভাবনা থাকছে। যদিও লোধা কমিটির নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডের কোনো ব্যক্তি একসাথে দুটি দায়িত্ব পালন করলে তাকে বাধ্যতামূলক ভাবে কুলিং অফে যেতে হয়। যেহেতু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সিএবি এবং বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে প্রায় ছয় বছর কাজ করে ফেলেছেন তাই তার কুলিং অফে যাওয়া বাধ্যতামূলক। যদিও শুধুমাত্র বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে সৌরভ অক্টোবরে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মোট 11 মাস কাজ করেছেন এই যুক্তিতে বোর্ড সচিব সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। বোর্ড সূত্রের খবর, বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুন ধুমল এপেক্স কোর্টে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ওজয় শাহের পদের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পিটিশন দাখিল করেছেন। কোরোনার পরিস্থিতিতে কোর্ট এখনো কোনো রায় না দেওয়ায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং জয় শাহের কুলিং অফের বিষয়টি বিচারাধীন।
প্রতিবেদনে-অমিত