তৃণমূল দলের পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরের দল আগামী নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দলের অন্দরমহল ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, দলের মধ্যেকার উপদলীয় কার্যকলাপ এবং একক গোষ্ঠী রাজ কখনোই দলের পক্ষে ভালো হতে পারে না। তাই গতকাল জেলার ব্লক ও শহরস্তরে সাংগঠনিক কাঠামোতে নজর পড়ার মত বদল ঘটাল তৃণমূল দল। জানা গেছে, অপসারিত হয়েছেন পাঁচ ব্লকের সভাপতি, তিন শহর সংগঠনের সভাপতি ও আরো কিছু নেতা। যেসব ব্লকে যেভাবে পরিবর্তন হলো তা দেখে নিন – দাঁতন ১ ব্লকে বিক্রম প্রধানের থেকে সভাপতিত্ব তুলে দেওয়া হলো প্রতুল দাসের হাতে; চন্দ্রকোনা ২ ব্লকে ছায়া দলুই কে সরিয়ে জগজিৎ সরকার হলেন সভাপতি; মোহনপুর ব্লকে প্রদীপ পাত্র কে সরিয়ে মানিক মাইতি হলেন সভাপতি; গড়বেতা ৩ ব্লকে নিমাই বন্দোপাধ্যায় কে সরিয়ে রাজীব ঘোষ হলেন সভাপতি এবং মেদিনীপুর সদরে দিলীপ দে কে সরিয়ে মুকুল সামন্ত হলেন সভাপতি। এর মধ্যে মোহনপুর ব্লকের প্রদীপ পাত্র হলেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী ও প্রিয়পাত্র। তাই শুভেন্দু এর অনুগামীরা প্রশ্ন তুলেছেন, বারবার দলবদলের খাঁড়া শুভেন্দু এর ঘাড়েই এসে পড়ছে কেনো? তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেছেন,” আমাদের দলে সবাই যোগ্য। বৃহত্তর কাজের স্বার্থে এই পরিবর্তন। এটা কিন্তু কারো শাস্তি নয়।” তিনি আরো বলেন যে, “দল থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে বিধায়কেরা আর ব্লক সভাপতি থাকবেন না। এছাড়া নিমাই বন্দোপাধ্যায়ের মত অশীতিপর মানুষ নিজের থেকেই সরে যেতে চেয়েছিলেন।” এদিন দলের নতুন জেলা কমিটির কাঠামো মিডিয়ার সামনে রাখেন অজিত, সঙ্গে ছিলেন সাংসদ মানস ভূঁইঞা, দলের জেলা চেয়ারম্যান দীনেন রায় প্রমুখ। দেখা যায় আগের থেকে জেলা কমিটির আকার আয়তনে বেড়েছে। এর মধ্যে জেলার সহ সভাপতি ২১ জন, সাধারণ সম্পাদক ২৭ জন, সম্পাদক ৩০ জন, এবং জেলা কমিটির সদস্য ৩৭ জন।
অপসারিতদের অনুগামীদের মধ্যে ক্ষোভের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবে পাল্টা জবাবও দিয়ে রাখলেন অজিত। তিনি বলেন, ” প্রয়োজনে জেলা কমিটিতে নতুন কিছু নামের অন্তর্ভুক্তি করতে হবে।”
প্রতিবেদনে-অনির্বান