স্কুল কর্তৃপক্ষ লুকিয়ে ক্যামেরা লাগালো স্কুলের বাথরুমে! সেই ক্যামেরা দিয়েই স্কুলের শিক্ষিকাদের গোপন ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেল করলো স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সেই গোপন ভিডিও শিক্ষিকাদের দেখিয়ে দাবি করল , ”আপনাদের আগামী কয়েক মাস বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে হবে। কয়েক মাস মাইনে দেব না আমরা। রাজি না হলে বলুন! আপনাদের এই ছবি আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।” কোনো সমাজ বিরোধি অসৎ ব্যাক্তির কাজ নয় এটি বরং স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেই এমন তাজ করেছে । ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্যে। মেরঠের একটি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে এই মারাত্মক অভিযোগ করেছেন স্কুলের শিক্ষিকারা। স্কুল কর্তৃপক্ষ সমস্ত অভিযোগকেই অস্বীকার করেছেন ।
থানায় স্কুল পরিচলন সচীবের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দায়ের করেছেন স্কুলের শিক্ষিকারা , এমনকী কয়েক মাসের বেতন বাকি বলেই জানা গেছে। সেই বকেয়া বেতন চাইতেই কর্তৃপক্ষের সাথে কথাকাটি হয় এবং তারপরই কর্তৃপক্ষ এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলেই দাবি করেন শিক্ষিকারা।
২০১৭ সালে এই স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছিল , প্রতিটি ছাত্রকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো হেয়ারকাট করতে হবে। এমনকী, উঁচু ক্লাসের ছেলেদের বলা হয়েছিল, কোনওভাবেই দাড়ি রাথা যাবে না। কারণ এটি স্কুল। কোনও মাদ্রাসা নয় যে নামাজ আদায় করতে হবে। তার পর থেকেই এই স্কুল বিতর্কের কেন্দ্রে। এবার অবশ্য শিক্ষিকাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ।
কয়েকটি ছাত্রখুনের ঘটনা স্কুলের বাথরুমে ঘটলে , ছেলেদের বাথরুমে ক্যামেরা লাগানো হয়। কিন্তু মহিলাদের বাথরুমে ক্যামেরার কথা জানতেননা কেউই।
প্রতিবেদনে-তানভি সুলতানা