বাংলা এবং বাঙালিদের জন্য এর থেকে খারাপ খবর আর কি হতে পারে ! জাতীয় রাজনীতির শ্রেষ্ঠ পদে যিনি বাংলা এবং বাঙালিকে রিপ্রেসেন্ট করেছেন একসময়, সকলের প্রিয় সেই প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে আজ শোকের ছায়া নামলো গোটা দেশে ।
রাজনীতির ময়দান ছেড়ে চিরকালের মতো চলে গেলেন তিনি । ব্রেনে রক্ত জমার কারণে আগেই অসুস্থতা ছিল তার। তার ওপর হয়েছিল করোনা সংক্রমণ । এই সব কিছুর কারণে এই প্রথিতযশা রাজনীতিবিদের স্থান হয়েছিল কোমায়। দিল্লির এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সোমবার সকাল থেকেই তার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিলো। চিকিৎসক রা জানিয়েছিলেন দ্রুত অপারেশন না হলে বাঁচানো মুশকিল হবে তাকে। ডাক্তার রা অনেক ঝুঁকি নিয়ে তাকে সুস্থ করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ছিলেন তবু। তার মস্তিষ্কে অস্ত্রপ্রচার শুরু করে তারা। এরপর তাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করেছিলেন মমতা ব্যানার্জিও। তার গ্রাম কীর্ণাহারের মানুষজন তার আরোগ্য লাভের জন্য করেছিলেন মহা মৃত্যুঞ্জয় যোগ্য। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি চিকিৎসক রাও। আজ সন্ধ্যে বেলা তার জীবনাবসান ঘটে। তার প্রিয় বাংলা, তার গ্রাম কীর্ণাহার, তার দল সব ছেড়ে অন্তরাল হলেন চুরাশি বছর বয়স্ক এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ।
তার মতো নক্ষত্রের পতনের জন্য শোকাহত সমস্ত রাজনৈতিক দপ্তর।
প্রণব বাবুর ছেলে অভিজিৎ মুখার্জী টুইট করে এই খবর জানানোর সাথে সাথে নিস্তব্ধতা নেমে আসে গোটা দেশে।
রাজনৈতিক, প্রশাসনিক এবং সাংবিধানিক এতো গুলো স্তরের কৃতিত্ব খুব কম ভারতীয় ব্যক্তিত্বেরই রয়েছে।
তার সমস্ত স্মৃতি সমস্ত কীর্তি ফেলে রেখে , কীর্ণাহারের মানুষজনদের ফেলেছি রেখে তিনি চেপে বসেলেন আকাশ যানে! আস্তে আস্তে কীর্ণাহারের আকাশে মিলিয়ে যাচ্ছে তার সুতোর মতো রেখা। কোথাও যেন দেবব্রত বিশ্বাস এর গুনগুন সুর কানে আসছে..
আছে দুঃখ আছে মৃত্যু
বিরহ দহন লাগে
তবুও শান্তি, তবু আনন্দ তবু
অনন্ত জাগে…..
প্রতিবেদনে-শশাঙ্ক