আবারো অমানবিক পাকিস্তান! এক জন তরুণীকে ধর্ষণ এর পর হাঁটানো হলো রাস্তায় নগ্ন করে! এটার কারণ কি ধর্মীয় গোঁড়ামি না অন্য কিছু? একটা মোটামোটি শিক্ষিত, এবং এতো বৃহৎ দেশে এই ঘটনা কিভাবে ঘটতে পারে?
ঘটনার কেন্দ্রস্থল রাওয়ালপিন্ডি। সেখানেই ওয়ারিস খান এলাকায় হয়েছে এই ঘটনা। তরুণীর অভিযোগ এর ভিত্তিতে অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু এমন একটি ঘটনার পরেও দেখা প্রশাসন এর নির্মম ভূমিকা। গ্রেফতারের খানিক পরেই জামিনে ছেড়ে দিলো আদালত দুষ্কৃতী দের। তরুণীর বয়েস মাত্র ১৭ বছর। নিজের ভাই এর সাথে ওয়ারিস খান এলাকাতে বাস করতো এই বাবা মা হীন মেয়েটি।
সংসার চালানোর জন্য বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতো সে। গত ১৫ই জুলাই কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথেই তাকে তুলে নিয়ে যায় তিন জন এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী। তারপর সেখান থেকে একটা নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে, গলায় ছুরি ধরে তাকে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়। এতোকিছুর পরেও শান্ত হননি তারা। ধর্ষিতা যুবতীকে প্রকাশ্যে রাস্তায় নগ্ন করে হাঁটানো হয়। এমনকি সেই সব ছবি ভিডিও তুলে পোস্ট করা হয় সোশ্যাল মিডিয়া তেও। তরুণী অভিযোগ করেছে যে স্থানীয় থানায় ঘটনা জানানোর পরও তারা কোনো স্টেপ ই নেয়নি।
এদিকে অভিযুক্ত রা তাকে নিয়মিত হুমকি দিতেও ছাড়ছিল না। গত বৃহস্পতিবার ওই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। মূল অভিযুক্ত আমীর খুরসি কে গ্রেফতার করা হলেও, জামিনে মুক্তি পেয়ে যায় সে। অন্য দুই অভিযুক্ত কেও এগারোই অগাস্ট পর্যন্ত জামিনে রাখা হয়েছে। রাওয়াল পিন্ডি পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে তারা। তরুণীর তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ ও নাকচ করে তারা।