কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা যেমন মুখে একত্রতার বাণী দিচ্ছেন সেরকম অন্যদিকে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপি তে বিভাজন রেখা সুস্পষ্ট হচ্ছে ।
রাজ্য রাজনৈতিক মহলে বেশ কিছু অংশ মনে করছেন রাজ্য বিজেপির দিলীপ শিবিরই ছড়ি ঘোরাচ্ছে গেরুয়া দলে।তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যুক্ত হওয়া নেতারা সেই অর্থে গুরুত্ব পাচ্ছেন না ।এক প্রকার দলের মধ্যে দুটি অংশে ভাগ হয়ে গেছে রাজ্য বিজেপি। এই দমবন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে থেকেই মাঝে মাঝে সুযোগ পেয়ে তারা জ্বলে উঠছে।
মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে যুক্ত হলেও মুকুলের মতো জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন অনুপম হাজরা ।যাদবপুরের টিকিট পেয়েছিলেন তিনি ।কিন্তু সেটাও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন অনুপম ।এমন অবস্থায় বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে কখনো কখনো গর্জে ওঠেন তিনি।
এমন সুযোগ পেয়েই বিশ্বভারতী কাণ্ডে বিজেপি মহিলা মোর্চা নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল এর বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করলেন তিনি ,ফলে বিজেপির মধ্যে শুরু হলো গৃহযুদ্ধ এবং বিতর্ক।
বিশ্বভারতীতে পৌষ মেলা মাঠের প্রাচীর তোলার প্রসঙ্গে বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন পৌষ মেলার মাঠে সেক্স র্্যাকেট চলে , চলে গাঁজা চরস আরো অনেক কিছু ব্যবসা। কাজেই তার ইঙ্গিত ছিল বিশ্বভারতীর একাংশ ছাত্রছাত্রীর দিকে। তাই এখানে প্রাচীর দিতে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি ।তিনি এও বলেন বিশ্বভারতী আর কবিগুরুর সময়ের মতো নেই, ফলে সেটাকে নিজেদের মতো সেটাকে সংরক্ষণ করার দিকে মন দিতে।
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্র এবং অধ্যাপক হিসাবে অনুপম সেখানে মুখ খোলেন ।তিনি বলেন একসময় বিশ্বভারতীর ছাত্র ছিলাম আবার এখানে অধ্যাপনা করছি। কিন্তু সেক্স র্্যাকেট হয় বলে আমার জানা নেই ।কে কি বলল সেটা আমি দেখতে যাব না ।এখানে ছোট থেকে বড় হয়েছি ।বিশ্বভারতী নিয়ে আমরা একসঙ্গে চলব ।বিশ্বভারতী আমাদের কাছে এক গভীর অনুমতি।বিশ্বভারতী নামে ভুলভাল তার বিহিত করতে হবে।এই বক্তব্যের ফলে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
তার এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে বিজেপি দলকে ।প্রশ্ন উঠছে এমন দলের বিরুদ্ধে এমন অবস্থান কেন নিলেন অনুপম হাজরা।দলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে এমন বলে উঠলেন অনুপম, এটা কী শুধুমাত্র বিশ্বভারতীর প্রেম নাকি ভিতরে চলছে অন্য কোন পরিকল্পনা!!
প্রতিবেদনে-সোহেল সারওয়ার