বাম-কংগ্রেস-সিদ্দিকী এই তিনটে শরিক দলের জোট ইতিমধ্যেই যথেষ্টই ভোটের হাওয়া নিজের দিকে নিয়ে নিয়েছে একুশে। এবার এই এই তিনদলের জোট যে শনিবারের বৈঠকের পর আসন সমঝোতার মধ্যে দিয়ে আরো এক নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে গেলো তা বলাই বাহুল্য। এর আগে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে তিন শরিক দলের বৈঠক হয়েছিল অবশ্যই। কিন্তু আব্বাস সিদ্দিকীকে কটা আসন বামেরা এবং কংগ্রেস ছাড়বে তা নিয়ে চূড়ান্ত সমঝোতায় আসা যায়নি। গতকাল হুগলির মানকুণ্ডু সার্কাস মাঠে বাম-কংগ্রেসের সফল সভার পর, ফেরার পথে বৈদ্যবাটী পার্টি অফিসে সিদ্দিকীর দলের সাথে আবার বৈঠকে বসে দুই দল। সিদ্দিকীর দলের পক্ষ থেকে এইদিন উপস্থিত ছিলেন নৌসাদ সিদ্দিকী। রাত নটায় বৈঠক শেষে সিপিএম পলিটব্যুরোর নেতা মোঃ সেলিম জানান” মহাজোট হচ্ছেই যদি শেষ মুহূর্তে কোনো অঘটন না ঘটে”। কংগ্রেসের আব্দুল মান্নানের বক্ত্যব্যর নির্যাস ও তাই। এতে নতুন আশার আলো দেখছে বাম-কংগ্রেস সমর্থক রা। তিন দলের মহাজোট এর আসন সমঝোতা মোটেই মুখের কথা নয়। সেই সমীকরণ অনেকটাই সল্ভ করে ফেলেছে মহা জোটের শরিক রা। জানা যাচ্ছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট যতগুলি আসন চেয়েছিলো তার থেকে কিছু কমেই রফা হচ্ছে তাদের সাথে। সিদ্দিকীকে বেশি আসন ছাড়ছেন বামেরাই। কংগ্রেস যেকটা আসন ছাড়ছে তার বদলে তারা বামেদের কাছ থেকে কিছু আসন নেবে। মোটামুটি বাম এবং কংগ্রেস 1:3 অনুপাতে আসন ছাড়ছে সিদ্দিকীকে। মোট ৩৮ টা আসন দিয়েছে তারা নদীয়া, হাওড়া ও দুই চব্বিশ পরগনা মিলিয়ে। এছাড়া বীরভূমেও প্রার্থী দেবার কথা তাদের। সব মিলিয়ে আঠাশের ব্রিগেড যে বেশ রমরমিয়েই হচ্ছে তা স্পষ্ট। এবার সত্যিই একুশের ভোটে বড়ো প্রভাব ফেলতে পারে “মহাজোট” বলে মনে করছে বাম কর্মীরা।
প্রতিবেদনে- অনির্বান