মধ্যবিত্ত বাঙালির শেষ ইন্টেলেক্ট এর নাম মীর এখনো পর্যন্ত! সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু -মুসলিম নির্বিশেষে সকলের প্রিয়তম নাম বাঙালি মীর! ঈদ হোক বা পূজো, বাঙালির যেকোনো আবেগের জায়গায় অনায়াসেই জায়গা করে নেন তিনি। কিন্তু এবছরে ‘পুজোর মুডে’ ঢুকে মৌলবাদীদের রোষে পড়লেন মীর। রেডিও জকি, সঞ্চালক, অভিনেতা, কমেডিয়ান, ব্যান্ডেজের লিড সিঙ্গার– এই এতগুলো পরিচয় যাঁর , তাঁকেও পড়তে হলো তীব্র আক্রমনের মুখে। কিন্তু তিনি ফেজ টুপির ছবিতে পাল্টা উত্তর দিলেন একদম সপাটে, একটি কবিতা লিখে সম্প্রীতির বার্তা দিলান মীর আফসার আলি।
পাঞ্জাবী ও জহরকোট পরিহিত একটি ছবিতে “ধীরে ধীরে পুজোর মুডে ঢুকছে দেখো কে …” ক্যাপশন দিয়ে বুধবার বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি।
এরপরই সংখ্যালঘু মৌলবাদীরা খাপ বসান তাঁর প্রোফাইলে, কেনো তিনি হিন্দু ধর্মের উৎসবের কথা লিখবেন সেই নিয়ে।
অনেকেই বলতে শুরু করেন, “ঈদের সময় আপনার তো এত আদিখ্যেতা দেখি না!” এর বাইরেও লেখার অযোগ্য ভাষায় আক্রমণ ধেয়ে আসে.মীরের বিরুদ্ধে। বাদ দেওয়া হয়নি তাঁরা বাবা-মাকেও।
কয়েকঘন্টার মধ্যে তিনি একটি ফেজ টুপি পরিহিত ছবি পোস্ট করেন , তাতে সমস্ত জবাব দেন তিনি। শেষে তিনি লিখেছেন, “যে শিরে বরিষে গঙ্গার জল, সেই মাথাই ঢাকে টুপি।”
অষ্টমীর ভোগ থেকে ঈদের সিমাই- লাচ্চা কিংবা বড় দিনের কেক সবেতেই মীর আছেন। রেডিও, টিভির সঞ্চালনা থেকে তাঁর যাপন, ঘনিষ্ঠরা বলেন রোজ সম্প্রীতির অনুশীলন করেন মীর। তাঁর পোস্টে এমন আক্রমণ দেখে নেটিজেনদের অনেকেই প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন।
এর আগে সংসদে শাখা সিঁদুর পরে শপথ কিংবা রথ বা সিঁদুর খেলায় উপস্থিত থাকার জন্য নুসরত জাহানকে তীব্র আক্রমনের মুখে পড়তে হয়। যা দেখে অনেকেই বলেছেন, দেশে এক অদ্ভুত অসহিষ্ণুতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যেখানে দুই মৌলবাদের প্রতিযোগিতার আস্ফালন চলছে প্রতিদিন। এই অবস্থায় মীরএর মতো একজন শিল্পীই পারেন মৌলবাদী এবং মৌলবীবাদী দের মুখে ঝামা ঘষে দিতে! এবং তিনি সফল ও ভীষণ ভাবে।
প্রতিবেদনে-তানভি সুলতানা