রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ কে আগাম সতর্কতা দিলেন যে – পুজোতে পর্যটকরা যেন করোনার বিধি মেনে চলে। পুলিশ কে দেখতে হবে হোটেল এবং পর্যটকদের গাড়ি নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে কিনা এইসব। করোনার সংক্রোমোন শুরু হওয়ার পরে দেশ তথা রাজ্যের পর্যটন শিল্পের বেহাল অবস্থা।তাই রাজ্য আনলকের বিভিন্ন পর্যায়ে পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়েও হোটেল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে পর্যটনের দিকে নজর রাখতে বলেছে। হোটেল ও গাড়ি স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি এটাও দেখতে হবে যে পর্যটকরা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে কিনা।
পুজোতে যেহেতু বাংলায় খুব ভিড় হয় এখন সেটাই চিন্তার কারণ। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীরা যথেস্ট চিন্তিত।কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এখনো অবদি একটি ই ট্রেন আসা যাওয়া করছে। ফলে খুব বেশি পর্যটক উত্তরবঙ্গে যেতে পারবে না। হিমালয়ান হস্পিটালিটি এন্ড ট্রাভেল ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক নামে একটি পর্যটন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান – অন্যান্য বছর এই সময় 80 % বুকিং হয়ে যায়, এ বছর বুকিং হয়েছেই মাত্র 15 %।
কেউ ঘর ছেড়ে দেওয়ার পর স্যানিটাইজ করে তবে অন্য কাউকে দেওয়া হবে। পুলিশ সূত্রে খবর – দার্জিলিংয়ে ঢোকার জন্য রোহিনীতে গেট ও কিয়স্ক করা হয়েছে। সেখানে পর্যটকদের ভালোভাবে সব নিয়মকানুন বুঝিয়ে দেওয়া হবে। অন্যদিকে বন দপ্তর শিশু ও বয়স্কদের জঙ্গলে ঢোকার উপর নিয়ন্ত্রণ ছাপিয়েছে।
উত্তরবঙ্গে যেহেতু অতটা ভিড় হতে পারবে না তাই সেই ভিড় দেখা যেতে পারে দিঘা, মন্দারমনি তে। দিঘা হোটেল মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান – অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বুকিং মাত্র 25%. পুলিশ সূত্রে খবর অনেক দিন ধরেই মাইক নিয়ে করোনা বিধির প্রচার চলছে। কিন্তু পুজোর সেসময় একসাথে অনেক পর্যটক এসে পড়ল পুলিশ কি করবে সেটাই এখন। দেখার। এই জেলায় 200 পুলিশ কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তাই সব কিছুর জন্য একমাত্র ভরসা পর্যটন সচেতনতা।