বারবার দলবদলে পটু বাগদার বিধায়ক দুলাল বর অভিযোগ করেছেন, তিনি ২০০৬ সালে তৃণমূলের বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে ২০০৮ সালে তাঁর বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে একটা অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিলেন হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতকে। বর্তমান পঞ্চায়েত সেই অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিন বিক্রি করেছে। তাঁর অভিযোগের তীর হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রিয় প্রধান তৃণমূলের চায়না বিশ্বাসের দিকে।
২০১৬ সালে বাম কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসাবে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন দুলাল বাবু। ২০১৮ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। আবার দল বদল করে বর্তমানে তিনি বিজেপির ঘরের ছেলে। দুলাল বাবু প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন প্রধান অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিন বিক্রি করে পনেরো হাজার টাকা নিয়েছেন। দুলাল বাবু বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন। পুলিশ তদন্ত করছে। যদিও হেলেঞ্চার জনগণ বিধায়কের অভিযোগে কান দিতে রাজি নন। তাঁরা কটাক্ষের সুরে বলছেন, বিক্রি হওয়া বিধায়কের গাড়ির ইঞ্জিন প্রধান কেন বিক্রি করবে !! বিধায়ক হেলেঞ্চাতে যে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সেখানে হাতে গোনা কয়েকজন বিজেপি নেতা ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, ‘ প্রধানকে প্রধান হবার আগে থেকে জানি। সামান্য টাকার জন্য চায়না বিশ্বাস এমন কাজ করতে পারেনা। ওদের একটা পারিবারিক ঐতিহ্য আছে। বিক্রি হওয়া মানুষ সব সময় বিক্রির গন্ধ পান। দুলাল বাবুও সেটাই পাচ্ছেন হয়তো। ‘
গাড়ির ইঞ্জিন বিক্রির অভিযোগ করা হলেও গাড়িতেই ইঞ্জিন আছে। বর্তমানে গাড়িটি পুলিশের হেফাজতে, বাগদা থানাতে।
এই বিষয়ে প্রধানের সাথে যোগাযোগ করা হলে চায়না বিশ্বাস জানান, তিনি বিষয়টা নিয়ে কিছুই জানতেন না। লোকমুখে জানার পরে তিনি থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্ত করছে। তিনি বলেন, একটা চক্রান্ত চলছে। তদন্তে সব সত্য সামনে আসবে।