ঢাক ছাড়া কি আর পুজো মানায়। কিন্তু এই বছর যেনো কার নজর লেগে গেছে ঢাকি পাড়ায়। এই তো কদিন পর বিশ্বকর্মা পুজো, মা দুর্গা ও তো আসবো আসবো করছে।
কিন্তু করোনার ধাক্কায় এখনও অসহায় পশ্চিম বর্ধমানের লাউদোহার ঢাকি পরিবারগুলি।
বছরের শুরু থেকেই রথযাত্রা আর অনেক পুজোতেই বায়না আসতো, কিন্তু এই মহামারী যেনো ঢাকি দের পরিবার থেকে হাসি ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেলো।
পশ্চিম বর্ধমানের লাউদোহায় গোরাবাজার। ঢাকি পাড়া বলে বেশ পরিচিতি। গ্রামে প্রায় ২০০ ঢাকির বাস। কিন্তু সেই পাড়ার অবস্থা বেহাল।
ঢাকি বেনু বাদ্যকর বলেছেন , দুর্গাপুজোর অপেক্ষায় থাকি সারাবছর, কারণ এই সময়ে আমাদের চাইদা থাকে বেশি। উপার্জন ভালোই হয়। কিন্তু অনেক ঢাকি শিল্পী এখনো পর্যন্ত ডাক পাইনি, স্বাস্থ্য বিধি মেনে দুর্গা পুজো হলে, ঢাকির ও ডাক কমবে।
লাউদোহার উত্তরপাড়া,দক্ষিণপাড়া ও বাদ্যকর পাড়ার ঢাকিদের ব্যস্ততা নেই। অন্য বছর, এই সময় ব্যস্ততা লেগে যায় পাড়ায়, অনেকে নতুন করে ঢাক বাঁধার ডাক পায়। এই বছর এখনো ধুলোও ঝারা হইনি। সারা বছর কিভাবে সংসার চলবে বুঝেই উঠতে পারছে না।
ঢাকিপাড়ার অনেকে নিজের বাবা – ঠাকুর্দার হাত ধরে এই পেশায় এসেছেন। করোনা আবহাওয়ায় অন্য কোনো কাজ করবেন সেটার ও উপায় নেই। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকিদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মী তথা তৃণমূল নেতা সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন গৌরবাজার গ্রামের ২০০ টি শিল্প পরিবারের মধ্যে ৬০ জন বেকার ভাতা পান। আমরা চেষ্টা করব বাদবাকি জন যেন বেকার ভাতা পায় সেই বিষয়ে বিধায়ক কে জানিয়েছি।
এখন শুধুমাত্র মা দুর্গার অপেক্ষা, মা দুর্গায় পারেন এই ঢাকিদের এই অবস্থা থেকে বের করতে।
প্রতিবেদনে -দেবিকা দাস