এইদিন বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে রাজ্যের সাংগঠনিক হাল হাকিকত জানতে এসেই ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক সুনীল দেওধর যিনি ত্রিপুরাতে সফলতার সিঁড়ি চড়িয়েছেন দলকে,এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয় বুধবার হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর এবং হুগলির বিজেপি নেতাদের সাথে বৈঠকে বসে তাদের নানান ক্ষোভের কথা শুনতে পেলেন।
উঠে আসলো গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথাও। অবশ্য সাংবাদিক দের কাছে এই বিষয়ে মুখ খোলেননি তাদের মধ্যে কেউই। শুধু জানিয়েছেন প্রয়োজনে নেতৃত্ব বদলানো হতে পারে। তৃণমূল থেকে যারা বিজেপিতে আসতে চাইছে তাদের স্বাগত জানানোর কথাও উঠে আসে।
এদিন দিলীপ ঘোষও বলেন শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূলের যেসব বিধায়ক ও নেতার তৃণমূলে শ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসছে তারা বিজেপিতে আসুক, তারা অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বসে আছেন সবাইকে দেবেন।
কলকাতায় বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বার্তা দিয়েছিলেন যে বিধানসভা ভোটের কে কোথায় প্রার্থী হচ্ছে সেটা ঠিক করবে কেন্দ্র। কেউ যেন এটা না ধরে নেন যে নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী হতে পারবেন।
জানা যাচ্ছে এবার থেকে সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা এবং অমিত শাহও আসবেন নিয়মিত।
১৫ই জানুয়ারির মধ্যে সমস্ত জেলায় একজন করে কেন্দ্রীয় পর্যটক রাখা হচ্ছে।
এর মধ্যেই সেদিন চার জেলার সাংগঠনিক বৈঠকে উঠে আসলো ভালো রকম গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের আভাস, ফলে আগামী দিনে যে বিজেপির নেতৃত্বের মধ্যে আমূল পরিবর্তন ঘটতেই পারে তা নিয়ে বিশেষ সন্দেহ নেই।
প্রতিবেদনে-শশাঙ্ক