মুর্শিদাবাদ এর নওদা থানার আলমপুর গ্রামে কালী মন্দিরে কালী প্রতিমা পুড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল ও হিন্দুত্ববাদীরা সাম্প্রদায়িক উস্কানি মূলক গুজব ছড়ালেন ফেসবুকে । সব থেকে বেশী যার নাম সামনে আসলো তিনি প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার এবং প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
কালী প্রতিমা পুড়ে যাওয়ার স্বাভাবিক ঘটনাকে স্থানীয় দুষ্কৃতী দের কাজ বলে প্রচার করেন অগ্নিমিত্রা।
আরো বলা হলো এর আগেও নাকি বার বার মাকালীর গয়না চুরি থেকে মন্দিরের গাছ কেটে দেবার মতো ঘটনা ঘটেছে! তাও আবার মুর্শিদাবাদের মতো জায়গায়!
একটি ফেসবুক পোস্টে অগ্নিমিত্রা আরো বলেন যে বারবার শাস্তি জনক ঘটনার পরেও প্রশাসন নীরব ই রয়ে গেছেন। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কে নিশানাও করেন তিনি।
কিন্তু পরে জানা যায় সমস্ত বিষয়টাই তার মনগড়া।
আসলে কোনো রকম দুষ্কৃতী হামলাই হয়নি আলমপুর এর কালী মন্দিরে!
এই তীব্র সাম্প্রদায়িক উস্কানি মূলক গুজব ঝড়ের বেগে সোশ্যাল মিডিয়া তে ছড়ানোর সাথে সাথে ধন্দে পড়ে যায় মন্দির কমিটি! মন্দির কমিটি বিবৃতি দেয় সাথে সাথে এর বিরুদ্ধে। সঙ্গে সঙ্গে স্টেপ নেয় মুর্শিদাবাদ পুলিশ।আলমপুর কালী মন্দিরের সম্পাদক সুকদেব বাজপেয়ীর বক্তব্যের একটা ভিডিও করে পাল্টা ফেসবুকে ছাড়ে মুর্শিদাবাদ পুলিশ! সেই ভিডিও তে আলমপুর মন্দির কমিটির সম্পাদক সুকদেব পাত্র জানান ৩১এ অগাস্ট রাতে মন্দিরের কালী মন্দিরের প্রতিমা টি কোনো ভাবে পুড়ে যায়! গোটাটাই একটা দুর্ঘটনা। বাকি অভিযোগ গুলোও খারিজ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন তাদের এলাকায় বহু বছর ধরে হিন্দু রা এবং মুসলমান রা একসাথে মিলে মিশে বাস করছেন। কোনোদিন কোনো এই ধরণের ঘটনা ঘটেনি! তারা সুখেই আছেন। সকলের কাছে হাত জোর করে অনুরোধ করেন যাতে কেউ এই ধরণের সাম্প্রদায়িক উস্কানি মূলক ভুয়ো খবর না ছড়ান।
যদি মন্দির কমিটির পাল্টা বিবৃতি সামনে না আসতো তাহলে আজ হয়তো মুর্শিদাবাদ এর মতো জায়গায় যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হয়ে যেতে পারতো! এইভাবেই তো একাধিক ছোট বড় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সাক্ষী পশ্চিমবঙ্গ! উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে অগ্নিমিত্রার মতো সেলিব্রিটি বিজেপি নেত্রী এবং হিন্দুত্ব বাদীদের যে উস্কানি মূলক খবর প্রচার, এর মূলে কি রয়েছে! আবার কোন কালো দিনের মুখোমুখি তারা করতে চাইছেন বাংলার মানুষ কে! উঠছে প্রশ্ন!
প্রতিবেদনে-অনির্বান