বেড়ে যাওয়া সংক্রমণের মধ্যে থেমে নেই দেশীয় রাজনীতিও। এরমধ্যেই ক্ষমতায়নের জন্য গণতন্ত্র সাজাচ্ছেন রাজনীতিবিদরা। বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। আর এই করোনা সংক্রমণের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে বিহারে হবে বিধানসভা ভোট। আজ শুক্রবার দুপুরে বিহার বিধানসভা ভোটের ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। তিনি জানিয়েছেন, এ বার বিহারে ৩ দফায় হবে ভোট গ্রহণ। প্রথম দফায় ২৮ অক্টোবর ১৬ টি জেলার ৭১ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। পরের দফায় ৩ নভেম্বর ৯৪ টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। তৃতীয় দফায় ৭ নভেম্বর ১৫ টি জেলার ৭৮টি আসনে করা হবে ভোট গ্রহণ। ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে ১০ নভেম্বর। প্রসঙ্গত, ২৯ শে নভেম্বর বিহার বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে। করোনা পরিস্থিতিতেও ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত কেন, এদিন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্তত ৭০ টি দেশে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে যা সংক্রমণের পরিস্থিতি তাতে এটুকু পরিষ্কার যে এখনই পুরোপুরি তা নিয়ন্ত্রণে আসবে না। তা বলে তো অনন্তকালের জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধ থাকতে পারে না। তাই ভারসাম্য রাখতেই নির্বাচনের এই সিদ্ধান্ত। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, যেহেতু কোভিডের কারণে এখন পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা, তাই কমিশনের রেসপন্সও হবে নতুন ধরনের। ভোট কর্মীদের জন্য ৪৬ লক্ষ মাস্ক, ২৩ লক্ষ গ্লাভস, ৬ লক্ষ পিপিই স্যুট, ৭ লক্ষ ফাইল স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হবে। তা ছাড়া ১ ঘন্টা বাড়ানো হবে ভোট গ্রহণের সময়ও। প্রতি বুথে ১৫০০ জন ভোটারের পরিবর্তে ভোট দেবেন ১০০০ জন ভোটার।
বিহারে গত বিধানসভা ভোটে সমীকরণ ছিল ভিন্ন। ২০১৫ সালের নির্বাচনে লালু প্রসাদের আরজেডি, নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দল এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোট হয়েছিল। জাত-পাতের সমীকরণে সোনা ফলিয়েছিল সেই মহাগাঁটবন্ধন তথা মহাজোট। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় আরজেডি জিতেছিল ৮০টি আসনে। সংযুক্ত জনতা দল ৭১টি আসনে জিতেছিল। আর কংগ্রেস পেয়েছিল ২৭ টি আসন। সেই পরিস্থিতিতে মাত্র ৫৩ টি আসনে জিতেছিল বিজেপি।
কিন্তু পনেরো সালের ভোটের এক বছরে মধ্যে ডিগবাজি খান নীতীশ। তিনি ফের আরজেডি-কংগ্রেসকে ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার তৈরি করেন। এ বার নির্বাচনেও সেই জোট অব্যহত থাকবে। তা ছাড়া জোটে থাকছে রামবিলাস পাসোয়ানের লোকজনশক্তি পার্টিও। এবার অধিকাংশ রাজনীতিবিদেরই চোখ থাকবে বিহার ভোটের ওপর। এই ভোট নির্ণয় বিন্দু হতে পারে ভারতের রাজনীতির, এমনও মনে করছেন অনেকে।
প্রতিবেদনে- তানভি সুলতানা