শুক্রবার বিকেলে মেয়র পরিষদের বৈঠক চলাকালীন আচমকা আগুন লাগল বিধাননগর পুরভবনে। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী পারিষদদের নিয়ে তড়িঘড়ি বাইরে বেরিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও। এফডি ব্লকে বিধাননগর পুরনিগমের এই প্রধান কার্যালয় ফাঁকা করে দেওয়া হয়। মিনিট কুড়ির মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। এসি থেকেই আগুন বলে অনুমান। ঘটনায় কেউ আহত না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চারতলার এসি মেশিন। পুড়েছে পর্দা। ক্ষতি হয়েছে কিছু ফাইলেরও। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতি কী হয়েছে দেখা হচ্ছে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পুরভবনের নিজস্ব অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছিলাম। দমকলও খুব তাড়াতাড়ি চলে এসেছে।’ জানা গেছে, এদিন পুরভবনের ছ’তলায় বিকেল ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ শুরু হয়েছিল মেয়র পরিষদের বৈঠক। আধঘণ্টা পর হঠাৎই একজন ফোন করে মেয়রকে জানান চার তলায় আগুন লেগেছে।
ওই তলে বসেন পুরনিগমের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। ডেপুটি মেয়র তাপস চ্যাটার্জি, মেয়র পারিষদ দেবাশিস জানা, সুধীর সাহা, রহিমা বিবি, দেবরাজ চক্রবর্তী, প্রণয় রায় ও বীরেন বিশ্বাসকে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বৈঠক স্থগিত রেখে বেরিয়ে আসেন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। ফোন করা হয় দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে। খবর যায় পুলিশ ও দমকল দপ্তরে।
ততক্ষণে চার তলা ভরে গেছে ধোঁয়ায়। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বাইরে। আগুন দেখতে পেয়ে ভীড় জমাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চেয়ারপার্সন অনিতা মণ্ডল ও অন্য কাউন্সিলররাও খবর পেয়ে চলে আসেন। সবাইকে স্বস্তি দিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা।
প্রতিবেদনে- তানভি সুলতানা