এবার বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ মুখ ও জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা বাবান ঘোষ কে ভুল অভিযোগে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করলো তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস কি ভুয়ো দল ভাঁড়ানোর রাজনীতি শুরু করেছে? আরো একবার এই ঘটনায় উঠে আসলো খোদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম।
বিজেএমটিইউ বা ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ান এর সভাপতি বাবান ঘোষ সরাসরি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কে কড়া বার্তা দিলেন এই বিষয় নিয়ে। সেদিন খোদ পার্থ চ্যাটার্জি কে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার একটা অনুষ্ঠান করে যারা বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে দাবি করে একটা লিস্ট প্রকাশ্যে আনতে । সেখানে তিনি জানান যে বিজেএমটিইউ এর কয়েকশো নেতা কর্মী নাকি তৃণমূলে যোগ দিলেন। কিন্তু গোটা বিষয় যে প্রাক্টিক্যালি ভাওতা এবং জোচ্চুরি সেটা ধরতে সাহায্য করলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখ বাবান ঘোষই।
গতকাল তিনি বেঙ্গল এক্সক্লুসিভ নিউজ কে জানান যে কাল তিনি পার্থ চ্যাটার্জির এই ধরণের প্রেস কনফারেন্স এর কথা শুনলেন। সেখানে তিনি বলেছেন যে BJMTU এর ঘাটাল আর পূর্ব বর্ধমান এর সংগঠন থেকে গোপাল আর বিশ্বরূপ বলে দুজন নাকি তৃণমূলে জয়েন করেছেন। এ বিষয়ে তিনি সম্পূর্ণ দায় ভার অস্বীকার করছেন। তিনি আরো জানান যে ওরা আদতে BJMTU এর সদস্যই ছিলোনা । তৃণমূলের পক্ষ থেকে BJMTU নামেরই অনেক গুলো রেজিস্ট্রেশান বার করে একটা জাল সংগঠন তৈরি করা হয়েছে। তারপর নিজের কিছু লোকজন কেই ওখানে ঢুকিয়ে আবার তাদের দলে জয়েন করিয়ে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। ওই দুজন যদি বিজেপির সদস্য পদে থাকে তাহলে বিজেপি অবশ্যই আওয়াজ তুলবে কিন্তু ওরা BJMTU এর কোনোদিন কেউ ছিলোনা। এর থেকেই শাসক দলের জালিয়াতির বিষয় টা স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপর তিনি তৃণমূল কে কড়া ভাষায় খোঁটা দিতেও ছাড়েননা তিনি । তিনি বলেন তৃণমূলের অবস্থা এখন ডুবন্ত নৌকার মতো সবাই জানে ডুবন্ত নৌকার ঢেউ ওঠেনা। এই মিথ্যা অন্যায় অনৈতিক কাজ করে কোনোভাবে হাত পা ছুঁড়ে বাঁচার চেষ্টা করছে তারা। এগুলো আসলে পরিকল্পিত ভাবে শ্রমিক আন্দোলন কে রুখে দেবার চাল। এই ধরণের নোংরা কাজ তৃণমূল বরাবরই করে। এই করেই ওরা ওদের সংগঠন বাঁচিয়ে রাখে। অন্যদিকে তারা অনেক পরিশ্রম করছেন মানুষের মধ্যে। বস্তুত বাবান ঘোষের আমদানি করা “নো চান্দা গিরি, নো দাদা গিরি ” এই স্লোগানের জনপ্রিয়তা শ্রমিক দের মধ্যে দিন দিন বাড়ছে। বিজেপির শ্রমিক সংগঠন আরো বেশী বিস্তার লাভ করছে জেলায় জেলায়।
তৃণমূল যদি এই ভাবে বাবান ঘোষ ও বিজেপি কে বদনামের চেষ্টা করেন তাহলে ছেড়ে কথা বলা হবেনা।
তৃণমূল ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পা দিয়ে ছিলেন বাবান ঘোষের লেজে, তাই তাদের খেতে হলো যোগ্য ছোবল। ভবিষ্যতে হয়তো আরো আরো খেতে হবে। যেকোনো দুর্নীতি হলেই এইভাবে মাঝ হাটে হাঁড়ি ভেঙে তৃণমূল কে অপদস্থ করবেন বাবান ঘোষের মতো রাজ্য বিজেপির সৈনিকেরা!