লকডাউনের মধ্যেই রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা কিন্তু কমছেনা। পুরুষের হিংস্র লিঙ্গের ওপর তো আর লকডাউন ঘোষণা করা যায়না। স্কুটারে বেড়াতে নিয়ে যাবার ছলে এক তরুণী কে রেপ করে তারি দুই বন্ধু স্থানীয় যুবক । ঘটনা টা ঘটেছে নবগ্রাম, শক্তি পুরে।
তরুণীর প্রেমিকের ওই বন্ধু বলেছিলো তাকে তার প্রেমিকের কাছে স্কুটারে করে পৌঁছে দিয়ে আচমকা তাকে সারপ্রাইস দেবে। কিন্তু তার প্রেমিক কে আগে থেকে কিছু জানানো হবেনা এটাই শর্ত ছিল। কলেজ পড়ুয়া ওই তরুণী বিশ্বাস করে গিয়েছিলো ওই তরুণ দের সাথে। সেখানে নিয়ে গিয়ে তাকে গণধর্ষণ করে দুই তরুণ। সেখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে এসে কোনো রকমে জানান ওই তরুণী। শনিবারে রাত্তিরেই অভিযুক্ত দুজন তরুণ কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের একজনের নাম প্রণব বসু বা ডাম্পি। সে পানিহাটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আরেকজনের নাম রাহুল সাহা। সে পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। দুজনেরই বাড়ি শক্তিপুর নবগ্রামেই। তরুণী উত্তর চব্বিশ পরগনার এক কলেজের ছাত্রী। স্থানীয় একজন তরুনের সাথেই তার সম্পর্ক রয়েছে। ডাম্পি হলো ওই ছেলেটার বন্ধু। সেই সূত্রে সে ওই তরুণীর ও বন্ধু ছিল। শনিবার দুপুরে ডাম্পি ওই তরুণী কে ফোনে জানায় যে সে ঘুরতে যাবার প্ল্যান করছে। তার প্রেমিক কেও চমকে দেওয়া হবে এতে। তরুণী রাজিও হন। শনিবার দিন কে তারপর স্কুটারে করে নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলো ডাম্পি। সেখানে গিয়ে তরুণী তার প্রেমিকের খবর জানতে চাইলে তাকে বলা হয় তার বন্ধু আসছে। বেশ কিছুক্ষন পরেও তার প্রেমিক না এলে সে বাইরে আসে এবং পাশের ঘরে রাহুল কে দেখে। ডাম্পি ওই তরুণী কে জানায় যে রাহুলও তার প্রেমিকের বন্ধু। তখনি সন্দেহ হওয়ায় পালিয়ে যেতে চায় তরুণী। কিন্তু তখন ডাম্পি আর তার বন্ধু রাহুল ওই তরুণী কে পাশের ঘরে ঢুকিয়ে রেপ করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শেষ মেস কোনোরকমে বেঁচে পালন তরুণী। রাতে থানায় অভিযোগ ও করা হয়। পুলিশ তল্লাশি চালানোর পরেও খোঁজ পায়না অভিযুক্ত দের। পড়ে জানা যায় যে ডাম্পি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করে। তখনি পুলিশ থেকে পূর্ব পানিহাটি র তৃণমূল সভাপতি সম্রাট চক্রবর্তী কে জানানো হয় ঘটনা টা। তার সহযোগিতা তেই খোঁজ পাওয়া যায় দুজন অভিযুক্তের। মাঝরাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পূর্ব পানিহাটির তৃণমূল সভাপতি র বক্তব্য, কেউ আসলে আইনের উর্দ্ধে নয়, কে কোন দলের সমর্থক বড়ো কথা নয়, তাই পুলিশ কে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে সে।