তানজানিয়াতে দেখা গেলো বন্ধুত্বের এমন এক নিদর্শন, যেটা দেখে গোটা পৃথিবীর মানুষ অবাক হবেন। এই ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছেন এক স্বামী, স্ত্রী আর স্বামীর বন্ধু। স্বামীর ছিলোনা স্ত্রী কে সন্তান সম্ভবা করার ক্ষমতা। অথচ একথা বাইরে প্রকাশ করতে চাইছিলেন না। আবার চাইছিলেন সন্তানও। সেই কারণে নিজের প্রাণের বন্ধুকে স্ত্রীর সাথে যৌন মিলনের অনুমতি দিয়েছিলেন স্বামী! যাতে সাপও মরে আর লাঠিও না ভাঙে। আশা রেখেছিলেন যে বন্ধু অবশ্যই তার স্ত্রীর সাথে বারবার যৌন মিলন করে তার গর্ভে সন্তান আনতে সক্ষম হবেন! কিন্তু তার বন্ধু আরোই যাকে বলে বেকার!
স্থানীয় সূত্রে খবর বন্ধুর স্ত্রী এর সাথে ৭৭ বার পূর্ণ সঙ্গমের পরেও সন্তান সম্ভবা করতে পারলেন না তাকে। উল্টে বন্ধু তার ওপর ভয়ানক ক্ষুন্ন হয়ে করে দিলো মামলা।
যে ব্যক্তি এই অদ্ভুত কারণে মামলা করেছেন তিনি নিজে একজন গাঁট্টাগোট্টা পুলিশ কর্মী! নাম দারিয়াস মাকাম্বাকো।
এই মামলার পরই দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়াতে খবর ছড়ানোর সাথে সাথে হাসির রোল ওঠে। আপাতত খবর সূত্রে জানা গেছে পঞ্চাশোর্ধ দারিয়াস মাকামবাকো আসলে ছিলেন একজন বন্ধ্যা। ডাক্তারেরা স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন সন্তান এর মুখ দেখা সম্ভব নয় তার এই জীবনে। তার স্ত্রীর ও বয়স ৪৫ বিয়ের ছ বছর হয়ে গিয়েছিলো তাদের কিন্তু এখনো সন্তানের মুখ দেখেনি তারা। এই কারণে দুজনেই দারুন অবসাদে ভুগছিলেন। তখনি নিজের বন্ধুকে নিজের সাবস্টিটিউট হিসেবে ব্যবহার করার প্ল্যান ভাবেন তিনি।
এই প্রস্তাব নিয়েই প্রিয় বন্ধু ৫২ বছরের ইভান্স মাস্তানোর দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। অনুরোধ করেছিলেন তার স্ত্রীর সাথে যৌন মিলনের জন্য! এই প্রস্তাব নাকচ করলে তাকে দানিয়াস কুড়ি লাখ তাঞ্জিনিয়ান মুদ্রা!
এই প্রস্তাবে আর কে রাজি না হয়ে পারে। তার সাথে রফা হয় আগামী দশ মাস প্রতি সপ্তাহে অন্তত বার তিনেক তার বাড়ি গিয়ে তার স্ত্রী এর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
কিন্তু এইভাবে একের পর এক সপ্তাহ চলে যেতে থাকে। সাতাত্তর বার সেক্স করার পরেও গর্ভবতী করতে পারলোনা ইভান্স বন্ধুর স্ত্রীকে। পরে ডাক্তারি পরীক্ষাতে জানা যায় আশ্চর্য এক তথ্য। ডাক্তারের রিপোর্টে দেখা যায় ইভান্স ও আসলে একজন বন্ধ্যা। তবে এটা মেনে নিতে পারেননি একেবারেই ইভান্স।
কিভাবে মানবেন! তার যে আগে থেকেই রয়েছে দুই সন্তান। অনেক অস্বীকার করার পরে শেষ মেস হাতে নাতে পাওয়া রিপোর্টকে অস্বীকার করতে পারেনি সে। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসলে ইভান্স এর স্ত্রী ও পড়েন ফাঁদে। তাহলে ওই দুটো সন্তানের পিতা কে! অনেক জেরার পরে সে স্বীকার করে যে ওই দুই সন্তানের পিতা আসলে ইভান্স এর ভাই এডওয়ার্ড! তার সাথে সেক্স লাইফ কাটাতেন ইভান্স এর অবর্তমানে তার স্ত্রী!
একের পর এক কিন্তু চাঞ্চল্যকর ঘটনাও শান্ত করতে দারিয়াস কে। তার বন্ধুকে দেওয়া ওই কুড়ি লাখ তানজানিয়া র মুদ্রা অবিলম্বে ফেরত চেয়েছেন। তবে ইভান্স বলে সে তো কোনোরকম সিওরিটি দেয়নি যে সে তার স্ত্রী কে গর্ভবতী করতে সক্ষম হবে! তাহলে সে কেনো দিতে যাবে খামোখা টাকা। আদৌ কি এই সমস্যার কোনোদিন সমাধান সম্ভব কোনোদিন? কোন ল এন্ড অর্ডারে ফেলা হবে এই কেস কে এই নিয়ে এখন চুল ছিঁড়ছেন তানজানিয়ার বিচারকেরা!