বীরভূম জেলার দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা ও দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল কে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গ্রেফতার হলেন পাশের জেলা বর্ধমানের আরেক তৃণমূল নেতা নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার নিত্যানন্দ কে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিলেন গুশকরা পৌরসভার এই প্রাক্তন কাউন্সিলার।
কী ছিলো তার প্রতিক্রিয়া?
- ” আমি অনুব্রত মন্ডলকে থ্রেট দিয়েছিলাম আমার ২০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য।
যেটা ও নিজের স্ত্রীর ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় নিয়েছিলো। কিন্তু এখন কেষ্ট মন্ডল টাকা দিতে অস্বীকার করছে।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় যে থ্রেট এর বিবৃতি প্রকাশ হয়েছে সেটা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, “আমি এসব কিছুই বলিনি। অন্য কেউ বলেছে, এখন আমার নাম দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
সাথে আরো বলেন, “বেল পাওয়ার পর কেষ্ট মন্ডলের কলার ধরে টাকা আদায় করবো। ও নিজেকে চিফ মিনিস্টারেরও উপরের কেউ মনে করেছে। লজ্জা করা উচিৎ ওর। কেষ্ট মন্ডল একটা ডাকাত। ২০০ টা মার্ডার করেছে। যে লোকটা হাটে মাগুর বেঁচতো, সে কী করে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেলো?”
তার কথা অনুযায়ী, রাজারহাটে ক্যান্সার হসপিটালে কেষ্ট মন্ডলের স্ত্রী ভর্তি থাকার সময় ২০ লাখ টাকা ধার দেয় এবং সেটা সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিলো।
টাকা চাইতে গিয়ে উপরি পাওনা হিসেবে কেস ঠুকে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে অনুব্রত মন্ডলকে জিজ্ঞেস করা হলে, নিত্যানন্দের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ” ওর কাজই হলো লোক কে হুমকি দেওয়া। লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক থাকা সত্ত্বে বিনা লাইসেন্স এর বন্দুকের ভয় দেখায়।” প্রতিবেদনে-জাহেদ আলী