এবার পর্যটন কেন্দ্রে বেআইনি ভাবে তোলা তোলার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে! ঘটনা বাগদার মালিপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। সেখান কার নীল কুঠি ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিখ্যাত। নীল কর সাহেবদের সময় কার আমলের নানান গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে এই অঞ্চলে। সেখানে আগত পর্যটকদের থেকে এবার সরাসরি “তোলা” তোলার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল চালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের দিকে পঞ্চায়েতেরই সিল ব্যবহার করে । এক দুজন না, তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ এই দুস্কর্মে যুক্ত থাকার কথা উঠে আসলো । অথচ পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট পাল্টা অভিযোগ করেন পঞ্চায়েতের অনুমোদন ছাড়াই পঞ্চায়েতের নাম করে এই কাজ করছে আসলে অন্য কেউ।অন্যদিকে বাগদার অন্যতম তৃণমূল নেতা জুলফিকার আলি ভুট্ট নিশানা করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান আসমাতারা বিবির দিকেই। তিনি বলেন পঞ্চায়েত প্রধান আসমাতারা বিবির স্বামী তৃণমূলের নেতা আফজল বাবুই এই বেআইনি কাজ করাচ্ছেন নীল কুঠি অঞ্চলে। এর বাইরেও মদ পাচারের মতো বেআইনি কাজের সাথে জড়িত এই আফজাল বাবু বলে তিনি অভিযোগ করেন।পঞ্চায়েত প্রধান ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলেও তিনি জানান।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন আফজাল বাবু ও তার লোকেরা পিকনিক করতে আসা পর্যটকদের থেকে বেআইনি ভাবে প্রায় লক্ষাধিক টাকা তোলা তুলেছেন এই পিকনিকের মরশুমে। ওদিকে মূল অভিযুক্ত আফজাল গুরুর বক্তব্য তার ছেলেরা পর্যটকদের সাথে কথাবার্তা আলোচনার ভিত্তিতেই টাকা নিয়েছেন জোর দেখিয়ে না।
এই নিয়ে বিরোধী নেতৃত্ব দের অভিযোগ চাপানো রসিদ ছাড়া টাকা নিয়ে আসলে তৃণমূল নেতারা পকেটস্থ করছেন গোটাটাই। এই বিষয়ে পূর্ণ পুলিশি তদন্ত এবং দোষী দের কঠোর শাস্তির দাবী করেছেন বিরোধী নেতৃত্ব। অথচ এই নিয়ে অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি দীপক ঘোষের সাথে যোগাযোগ করে মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতিও দলের কারোর জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রতিবেদনে-শশাঙ্ক