বাড়িতে রোজ হয়তো খাবার জন্য একি থালা ব্যবহার করেন অনেকে, বা স্নান করার পর একি গামছায় গাও মোছেন রোজ, কিন্তু ব্যবহৃত কন্ডোম আবার ব্যবহার করার কোথা ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়! একই কন্ডোম দ্বিতীয় বার ব্যবহার করা বিপজ্জনক। কিন্তু এই ব্যবহার করা কন্ডোম নিয়েই ভিয়েতনামে চলছে রমরমিয়ে ব্যবসা।
জানা গেছে যে, ফেলে দেওয়া ব্যবহৃত কন্ডোম জোগাড় করে, সেগুলো ধুয়ে, শুকিয়ে, আবার প্যাকেটে ভরে, রীতিমতো নতুনের মতো করে বিক্রি করা হচ্ছে! রয়টার্স জানিয়েছে, ভিয়েতনাম পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছে, সে দেশের দক্ষিণ বিন দুয়ং প্রদেশের একটি গুদামে হানা দিয়ে প্রচুর পরিমাণ এমন কন্ডোমের খোঁজ মিলেছে।
কন্ডোমের সংখ্যা ও পরিমাণ দেখে, ব্যবসার আয়তন আন্দাজ করে চোখ কপালে উঠেছে পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, বড় বড় কয়েক ডজন ব্যাগে ভর্তি শুধুই কন্ডোম। সে সবই ব্যবহার করার পরে ধুয়ে শুকিয়ে প্যাকেটবন্দি করা। মোট ৩৬০ কেজি কন্ডোম বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সংখ্যার হিসেবে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ!
এই চরম বিপজ্জনক ও জালিয়াতিতে এক মহিলাকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। রয়টার্স জানিয়েছে, ধৃত মহিলা জেরার মুখে পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, কন্ডোম খুঁজে খুঁজে জড়ো করা হয় বিভিন্ন আবর্জনার স্তূপ থেকে। তার পরে সেগুলি গরম জলে ধুয়ে, শুকনো করে, নকল পেনিসের মধ্যে পরিয়ে আকার ঠিক করে, আবার নতুন ও বিক্রয়যোগ্য করে তোলা হয়।
ওই মহিলা এ-ও স্বীকার করেছেন, এই কাজটি করার জন্য, প্রতি কেজি কন্ডোম পিছু তিনি .১৭ মার্কিন ডলার করে পারিশ্রমিক পান বলেও জানিয়েছেন। তবে এভাবে কত ব্যবহৃত কন্ডোম ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে, কতই বা বিক্রি করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
ওই গুদামের মালিক কে, এই ব্যবসাটিই বা কাদের—তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে ভিয়েতনামের পুলিশ। শুধু তাই নয়, এই কন্ডোমের ব্যবসা মূলত কোন এলাকায় চলে, তাও এখনও বোঝা যায়নি। ভিয়েতনামের বাইরেও এই ব্যবসার জাল ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে আন্দাজ করছে পুলিশ। কোনও আন্তর্জাতিক চক্রের যোগ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও। কালো ধান্দার এমন নিকৃষ্ট নিদর্শন আর আছে কি? যতদিন যাচ্ছে নতুন নতুন করে মানুষের মাথার ভিতরে অপরাধের পোকা টা ইনোভেটিভ অপরাধের ইঙ্গিত পাঠাচ্ছে , আর সাধারণ মানুষ কে নতুন নতুন ভাবে নাজেহালও হতে হচ্ছে তার কাছে।
প্রতিবেদনে- তানভি সুলতানা