উত্তর প্রদেশ বর্তমানে ভারতের ক্রাইম রাজধানী হিসেবে কথিত হয়। ওখানেই বর্ণে বর্ণে অত্যাচার সবথেকে বেশী! উত্তরপ্রদেশের এক দলিত যুবকীকে ধর্ষন, কাটা হলো জিভ!
গ্রেফতার করা হলো উচ্চবর্নের চার যুবককে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তপ্রেদেশে, দিল্লী থেকে প্রায় ২০০ কিমি দুরে হাথরাস জেলায়।
নির্যাতিতার ভাইয়ের দাবি, মূল ঘটনাটি ১৪ সেপ্টেম্বরের। সেদিন মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে মাঠে ফসল কাটতে গিয়েছিলেন বছর কুড়ির ওই দলিত যুবতী। কিছুক্ষণ বাদে ফসলের বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরে যান নির্যাতিতার ভাই। তখনও মা-মেয়ে বাজরার খেতেয় ছিলেন। দুজন দু’প্রান্তে ফসল কাটছিলেন। হঠাত করে চার-পাঁচ জন দুষ্কৃতী আসে। তরুণীর গলায় তাঁরই ওড়না পেঁচিয়ে দেয়। তারপর টেনে হিঁচড়ে তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর মেয়েকে দেখতে না পেয়ে সন্ধান করা শুরু করেন মা। কিছুটা দূরে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখানকার এক সরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই নির্যাতিতা। তাঁকে আরও বড় হাসপাতালে স্থানান্তর করার প্রয়োজন পড়তে পারে। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। একাধিক হাড় ভাঙা, গোটা শরীরে ক্ষতচিহ্ন। ধর্ষণেরও প্রমাণ মিলেছে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, তাঁকে ধর্ষণ করার পর বেধড়ক মারধর করা হয়এবং অবশেষে তাঁর জীভ কেটে নেয় । এ হেন নৃশংস ঘটনার পরও পুলিশ চার- পাঁচদিন চুপ ছিলেন, এরপর স্থানীয় বিক্ষোভের জেরে তাঁরা ব্যবস্থা নেয়, এবং চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন।
যে উত্তরপ্রদেশে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সেই রাজ্যে নারী নিরাপত্তার হাল এমন কেনো? এই মুহূর্তে নারী নির্যাতন এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে দেশের মধ্যে একেবারে উপরের সারিতে আছে যোগীর রাজ্য। দলিত নারী দের ওপর নির্যাতন নিয়ে যথেষ্টই প্রচার হয়েছে। এমনকি একটি সিনেমাও তৈরি হয়েছে উত্তরপ্রদেশে দলিত ভায়োলেন্স এর নামে আর্টিকেল ১৫ নামে। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি কিছুই! দলিত দের ওপর এমন নির্মমতা দেখেও নিশ্চুপ কেন্দ্র!
প্রতিবেদনে- তানভি সুলতানা