বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু দুই যুবকের, কাঠগড়ায় সিইএসসি
হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বি গার্ডেন সংলগ্ন এক ইলেকট্রিক পোস্টে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হলো দুই স্থানীয় যুবকের। মৃত ব্যক্তিরা হলেন সুমন শর্মা (ওরফে ঘনু) এবং শ্রীকান্ত দাস। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা সি ই এস সি এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তারা দাবি করে সি ই এস সি এর গাফিলতিতেই ঘটে গেলো এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
কিভাবে মারা গেলো ওই তরতাজা দুই যুবক? স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বি গার্ডেন এলাকায় আজ ভোর 6 টা নাগাদ পাশাপাশি দাঁড়ানো দুটি ইলেকট্রিক পোস্টে শর্ট সার্কিট হয়। এরপর বাইশ জন স্থানীয় বাসিন্দা এ নিয়ে সি ই এস সি এর অফিসে অভিযোগ জানায়। এরপর ওই অফিস থেকে দুই কর্মী এসে পরীক্ষা করে জানায় যে পোস্টদুটিতে কোনো ত্রুটি নেই। তারপরেই কোনো এক সময় দুই বন্ধু সুমন শর্মা এবং শ্রীকান্ত দাস বি গার্ডেন ঘাট থেকে স্নান সেরে ফিরছিলো। এক প্রত্যক্ষদর্শীর মতে যেহেতু সারা রাস্তায় জল জমে ছিলো তাই তারা একেবারে রাস্তার ধার ঘেঁষে হাঁটছিলো। এরপরই সুমনের হাত ওই পোস্টে লেগে যায় এবং সে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়, ঘটনাক্রমে তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার বন্ধু শ্রীকান্তও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। আওয়াজ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসে। এবং কাঠ দিয়ে টেনে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা সি ই এস সি এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানতে থাকে। তবে সি ই এস সি এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাদের অফিস থেকে যে দুই কর্মী গিয়েছিলেন তাঁরা যন্ত্রে কোনো রিডিং পাননি বলেই ফিরে এসেছিলেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তা যথাযথ নয়। জানা গেছে, কন্ট্রোল এর অভিযোগের ভিত্তিতে ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীদের একটি দল কে পরস্থিতি খতিয়ে দেখতে পাঠানো হয়েছে। আপাতত ওই অঞ্চলের বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো, প্রযুক্তিগত সুযোগ সুবিধে থাকা সত্বেও প্রথম প্রচেষ্টায় সমস্যা খুঁজে বার করা গেলোনা কেনো? সদ্য ন’মাসের নতুন সংসারে সুমন শর্মা নতুন জীবনের যে স্বপ্ন দেখছিল তার এই পরিণতির দায় কি সি ই এস সি সত্যিই এড়াতে পারে!
প্রতিবেদনে- অনির্বান চ্যাটার্জী